ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের নগরী।আর এই ঢাকাতে যতোগুলো ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে,তার বেশির ভাগই পুরান ঢাকায় অবস্থিত। এমনই একটি ঐতিহাসিক মসজিদ হলো পুরাতন ঢাকার আরমানিটোলার আবুল খয়রাত রোডে অবস্থিত তারা মসজিদ।
বর্তমানে বাংলাদেশের ১০০ টাকার নোটের পেছনে এই মসজিদের ছবি দেখা যায়।মসজিদটি ঠিক কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার কোনো সঠিক তথ্য নেই। তবে বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী,এর নির্মাতা ছিলেন ঢাকার জমিদার মির্জা গোলাম পীর। গোলাম পীরের পূর্বপুরুষ ঢাকায় এসে ‘মহল্লা আলে আবু সাইয়েদ’এলাকায় বসবাস শুরু করেন, পরে এই এলাকার নাম হয় আরমানিটোলা।
মির্জা গোলাম পীর ১৮৬০ সালে মারা যান। ওই শতকের শুরুতেই তিনি মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। সতেরো শতকে দিল্লি, আগ্রা ও লাহোরে নির্মিত মোগল স্থাপত্যশৈলী অনুসরণে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। শুরুতে এটি মির্জা সাহেবের মসজিদ নামেই পরিচিত ছিল।
মির্জা গোলাম পীরের তৈরির আদি মসজিদটির দৈর্ঘ্য ছিল ৩৩ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট, গম্বুজ ছিল তিনটি। মাঝের গম্বুজটি অনেক বড় ছিল। সাদা মার্বেল পাথরের গম্বুজের ওপর তখন নীলরঙা অসংখ্য তারা যুক্ত ছিল। এ কারণে এটি তারা মসজিদ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
১৯২৬ সালে, ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। সে সময় জাপানের রঙিন চিনি-টিকরি পদার্থ ব্যবহৃত হয় মসজিদটির মোজাইক কারুকাজে। এই সময় মসজিদটির আকার বড় করা হয়। মসজিদের পূর্ব দিকে একটি বারান্দা যুক্ত করা হয়।
১৯৮৭ সালে এই মসজিদ পুনরায় সংস্কার করা হয়। এই সময় পুরোনো একটি মেহরাব ভেঙে দুটো গম্বুজ আর তিনটি নতুন মেহরাব বানানো হয়। সব মিলিয়ে বর্তমানে এর গম্বুজ সংখ্যা। মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট, প্রস্থ ২৬ ফুট।
তারা মসজিদ নিয়ে আমার তৈরি ভিডিও:১০০ টাকার তারা মসজিদ
No comments:
Post a Comment