ধামরাইয়ের জগন্নাথ রথ

 ধামরাই জগন্নাথ রথ ঢাকার ধামরাই উপজেলায় অবস্থিত হিন্দু দেবতা জগন্নাথের প্রতি উৎসর্গিকৃত একটি রথমন্দির।প্রায় চার শত বছর পূর্বে তৈরী হয়েছিল ধামরাইয়ের প্রথম রথ।

বিশাল ৪তলা রথ নির্মাণ করেছিলেন মানিকগঞ্জের বালিয়াটির তৎকালীন জমিদার বাবু রায়। এরপর এর তত্ত্বাবধানের ভার নেয় ধামরাইয়ের রায় সম্প্রদায়।  স্বাধীনতার পূর্বে ৪তলা রথ টেনে নিতে ২৪ মন পাট লাগত।১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনী এই রথ পুড়িয়ে দিলে একটি নতুন রথ পরে নির্মিত হয়।


ধামরাই রথযাত্রাটি বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রাচীন ও বৃহত্তম রথযাত্রা।এই রথ যাত্রা উপলক্ষে ধামরাইয়ে মাসব্যাপী গ্রামীণ ও কুটির শিল্পমেলা অনুষ্ঠিত হয়।সুউচ্চ নতুন রথ টানার সময় চারদিক থেকে মানুষের ছিটানো চিনি ও কলা বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে। এ দৃশ্য দেখার জন্য সর্ব ধর্মের লোকের মহাসমাগম ঘটে।

এক মাস দীর্ঘ এই মেলা বাংলা পঞ্জিকার সাথে সংযুক্ত। সাধারণত আষাঢ় মাসে এটি অনুষ্ঠিত হয়। শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে প্রতিবছর রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ৯ দিন পর হয় উল্টো রথ। এই রথ উৎসব ধামরাই বাজারের প্রধান সড়কের দুই পাশে অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির জন্য বিভিন্ন স্টল স্থাপনের পাশাপাশি দেশবিখ্যাত সার্কাস দল, নাগরদোলা, পুতুল নাচ, চুড়ি নিয়ে হাজির হয় বেদেনীরা, শিশুদের জন্য কাঠের, বাঁশের, মাটির খেলনা, কুটির শিল্প, তৈজসপত্র, ফার্নিচার ও খাদ্যদ্রব্য যেমন খই, মুড়ি-মুড়কিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের পসরা বসে এই মেলায়।

ধামরাইয়ের জগন্নাথ রথ নিয়ে আমার তৈরি ভিডিও লিংক:

৪০০ বছরের পুরনো ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা


বালিয়াটি জমিদার বাড়ি,সাটুরিয়া মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় অবস্থিত বালিয়াটি জমিদার বাড়ি সব চেয়ে সুন্দর, আকর্ষণীয় এবং বৃহৎতম একটি জমিদার বাড়ি। মানিকগঞ্জের অনেক গুলো জমিদার বাড়ির মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় এবং দেখতেও অনেক সুন্দর।এটি বর্তমানেবাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত ও পরিচালিত হয়।


এই জমিদার বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে হলে ২০ টাকার টিকিট নিতে লাগে, আর বিদেশিদের জন্য এই টাকার পরিমাণটা হচ্ছে ১০০ টাকা।টিকেট নিয়ে গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই আপনাকে স্বাগতম জানাবেন বিশাল চারটি প্রাসাদ।চারটি ভবনের মধ্যে তিনটি ভবন ধবধবে সাদা এবং সংস্কার করা,আর একেবারে পূর্বের ভবনটি সেই আগের অবস্থাতেই আছে।

খুব সুন্দর কারুকার্য খচিত এই চারটি ভবনের মধ্যে মাঝখানের দুইটি ভবন দুতলা করে,আর দুই পাশের ভবন দুটি তিন তলা করে।পশ্চিম দিক থেকে দ্বিতীয় ভবনটির দুতলায় রয়েছে একটি জাদুঘর, যেখানে এই জমিদার বাড়িতে ব্যাবহিত বিভিন্ন আসবাবপত্র প্রদর্শন করে রাখা হয়েছে।এইগুলো হচ্ছে এই জমিদার বাড়িতে ব্যাবহার সিন্দুক।পুরো জমিদার বাড়িতে মোট ভবন আছে ৮ টি, তারমধ্যে সামনে আছে ৪টি ভবন আর তার পেছনে আছে আরো চারটি ভবন।

সামনের মাঝের দুটি ভবনের ঠিক পেছনেই আছে দুটাটি অন্দরমহল, বলা হয়ে থাকে সামনের চারটি ভবনে জমিদাররা তাদের ব্যাভসার কাজে ব্যাবহার করতো,আর পেছনের অন্দরমহলে জমিদার পরিবারের সদস্যদের বসবাস করতো।

একদম পশ্চিম দিকের সারিতে রয়েছে আরো দুটি ভবন, ধারণা করা হয় এখানে প্রাসাদের চাকর বাকর, গাড়ি রাখার গ্যারেজ, ঘোড়াশাল ছিল ।

আর একদম পেছনে রয়েছে ছয় ঘাটলা বিশিষ্ট বিশাল এই পুকুর।স্থনীয় একজনের সাথে কথা বলে আমি জানতে পেরেছি,এই জমিদারদের রেখে য়াওয়া এরকম বিশাল ২০ টি পুকুর এখন দেখভাল করে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়।জমিদার বাড়িতে থেকে একটু দক্ষিণে অবস্তিত এই স্কুলটি ১৯১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি ওইতিহ্য স্কুল।

“গোবিন্দ রাম সাহা” বালিয়াটি জমিদার পরিবারের গোড়াপত্তন করেন। ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি লবণের বণিক ছিলেন।এটি বাংলাদেশের ১৯ শতকে নির্মিত অন্যতম প্রাসাদ।

জমিদার পরিবারের বিভিন্ন উত্তরাধিকারের মধ্যে “কিশোরীলাল রায় চৌধুরী, রায়বাহাদুর হরেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী তৎকালীন শিক্ষাখাতে উন্নয়নের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। ঢাকার জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কিশোরিলাল রায় চৌধুরীর পিতা. যার নামানুসারে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়।

এই বালিয়াটি জমিদার বাড়ি সবগুলো ভবন একসাথে স্থাপিত হয়নি। এই প্রাসাদের অন্তর্গত বিভিন্ন ভবন জমিদার পরিবারের বিভিন্ন উত্তরাধিকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্লকটি যাদুঘর।

কর্মব্যস্ত একটি সপ্তাহ কাটানোর পর অনেকেই চান বিরতি। ছুটির দিনে কোথাও পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারলে আরো ভালো। কিন্তু শহরের ভিড় আর হট্টগোলের ভেতর বেড়ানোর প্রশান্তিটা আর মেলে কোথায়! শহর ছেড়ে দূরে কোথাও যাবেন সে সময়টাও তো নেই, কারণ ছুটি মাত্র একদিনের!


কীভাবে যাবেন

ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে জনসেবা বা এসবি লিংক গেটলক পরিবহনের বাসে করে মাত্র দুই ঘণ্টায় সাটুরিয়া পৌঁছে যাওয়া যায়। বাসভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৭০ টাকা। সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র ৩০ টাকা রিকশা ভাড়ায় চলে যেতে পারবেন বালিয়াটি জাদুঘর।


টিকেট

বালিয়াটি জাদুঘরের জনপ্রতি টিকেটের দাম দেশি দর্শনার্থীদের জন্য ১০ টাকা এবং বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য ১০০ টাকা। রোববার জাদুঘর পূর্ণদিবস বন্ধ থাকে এবং সোমবার বন্ধ থাকে অর্ধদিবস। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোর খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি নিয়ে আমার তৈরি ভিডিও লিংক:

প্রাচীন নিদর্শন বালিয়াটি জমিদার বাড়ি,মানিকগঞ্জ


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

আমার দেখা সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন জমিদার বাড়িরগুলোর  মধ্যে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় অবস্থিত পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি অন্যতম একটি।অন্যান্য অনেক জমিদার বাড়ির থেকে পাকুটিয়া জমিদার বাড়িকে আলাদা করা যায় এর দৃষ্টিনন্দন ও অনন্য স্থাপত্য শৈলীর কারণে। 


আজকে আপনাদের এই জমিদার বাড়িটি ঘুরিয়ে দেখাবো এবং জানাবো এর ইতিহাস।

টাঙ্গাইল সদর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নাগরপুর উপজেলার লৌহজং নদীর তীরে ১৫ একর জায়গাজুড়ে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি।

পশ্চিম বঙ্গের কলকাতা থেকে নাগরপুরে আসেন রামকৃষ্ণ সাহা মন্ডল।ঊনবিংশ শতাব্দীর  ঠিক শুরুতে  তিনি ইংরেজদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে তার জমিদারি শুরু করেন।

রামকৃষ্ণ সাহা মণ্ডলের ছিল দুই ছেলে, বৃন্দাবন ও রাধা গোবিন্দ। রাধা গোবিন্দ ছিল নিঃসন্তান কিন্তু বৃন্দাবন চন্দ্রের ছিল তিন ছেলে ব্রজেন্দ্র মোহন, উপেন্দ্র মোহন এবং যোগেন্দ্র মোহন। এভাবে পাকুটিয়া জমিদারি তিনটি তরফে বিভক্ত ছিল। 

১৯১৫ সালের ১৫ এপ্রিল এই তিন ভাইয়ের নামে উদ্বোধন করা হয় একই নকশার পরপর তিনটি প্যালেস।তখন জমিদার বাড়িটি তিন মহলা বা তিন তরফ নামে পরিচিত ছিল। ১৯১৬ খ্রিঃ তাঁরা তাঁদের পিতা বৃন্দাবন এবং কাকা রাধা গোবিন্দের নামে বৃন্দবন চন্দ্র রাধা গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয় (বিসিআরজি) প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এখানে আছে অপূর্ব কারুকার্যখচিত বিশাল চারটি ভবন এবং একটি নাট মন্দির।প্রতিটি ভবনের  দেয়ালের পরতে পরতে রয়েছে সৌন্দর্যের ছোঁয়া। ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা অন্য জমিদার বাড়ির থেকে একটু হলেও বাড়তি সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায় এই পাকুটিয়া জমিদার বাড়িতে। অসংখ্য গাছ পালার ছায়ায় আচ্ছাদিত সুন্দর মনোরম পরিবেশ এই জমিদার বাড়ির সুন্দরযকে অনেক খানি বাড়িয়ে দিয়েছে।

জমিদার বাড়ির সামনে বিশাল মাঠের এক কোণে রয়েছে এই নাট মন্দির। এক সময় নাচে-গানে মুখর থাকত এই নাট মন্দির।

আর এই ভবনটি ব্যবহার করা হতো মন্দির হিসেবে।মন্দির ঘুরে দেখা গেল, এর কোথাও কোথাও ইট খসে পড়েছে, সেই পুরনো দিনের নকশা হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য।

অন্য তিনটি ভবন দুতলা করে এবং এদের চারপাশে রয়েছে বারান্দা।প্রতিটি বাড়ীর মাঝ বরাবর মুকুট হিসাবে লতা ও ফুলের অলংকরণে কারুকার্য মন্ডিত পূর্ণাঙ্গ দুই সুন্দরী নারী মূর্তি রয়েছে।

একদম পূর্ববের সবচেয়ে বড় মহলে বর্তমানে পাকুটিয়া বিসিআরজি ডিগ্রী কলেজ পরিচালিত হচ্ছে।বর্তমানে এই কলেজের মাধ্যমেই জমিদারদের রেখে যাওয়া সম্পদের দেখা শুনা করা হয়। দ্বিতল বিশিষ্ট এই ভবনের নির্মাণশৈলী মুগ্ধ করার মতো।তবে সংস্কারের অভাবে এই ভবনটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। 

তারপাশেই আছে অপূর্ব লতাপাতার কারুকার্যখচিত বিশাল আরেকটি ভবন, যার মাথায় রয়েছে ময়ূরের মূর্তি, এ ছাড়া কিছু নারী মূর্তির দেখা মিলে। লতাপতায় আছন্ন ভবনটির একাংশ বর্তমানে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং আরেক অংশে একটি বেসরকারি দাতব্য সেবা সংস্থা পরিচালিত হচ্ছে। 

সবশেষে দ্বিতল বিশিষ্ট এই মহলটির সামনে রয়েছে বিশাল শান বাঁধানো সিঁড়ি।এই মহল ঘুরে দেখা গেছে এখানে এখন কিছু সাধারণ মানুষ বসবাস করে এবং অন্য দুটি ভবনের  তুলনায় এই ভবন অনেক বেশি জরাজীর্ণ।

জমিদার বাড়ির ভবনগুলো সংস্কার  না হওয়াতে একদিকে যেমন সৌন্দর্য হারাচ্ছে,অন্য দিকে এটি দিন দিন ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে অজানা থেকে যাচ্ছে এর ইতিহাস।

যেহেতু এই জমিদার বাড়িটি সম্পূর্ণ অরক্ষিত ও উন্মুক্ত, তাই বছরের যে কোন দিন যে কোন সময় এখানে আসা যাবে। এখানে আসার রাস্তাটিও খুব সহজ,ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে এসবি লিংক পরিবহনের বাসে করে সরাসরি এই জমিদার বাড়ির সামনে এসে নামতে পারেন,বাড়া নিবে কম বেশি ১২০ টাকা।

পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি নিয়ে আমার তৈরি ভিডিও লিংক:

মাত্র ২৫০ টাকায় ঘুরে আসুন পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি,টাঙ্গাইল থেকে

তারা মসজিদ,আরমানিটোলা,পুরান ঢাকা

 ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের নগরী।আর এই ঢাকাতে যতোগুলো ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে,তার বেশির ভাগই পুরান ঢাকায় অবস্থিত। এমনই একটি ঐতিহাসিক মসজিদ হলো পুরাতন ঢাকার আরমানিটোলার আবুল খয়রাত রোডে অবস্থিত তারা মসজিদ।

বর্তমানে বাংলাদেশের ১০০ টাকার নোটের পেছনে এই মসজিদের ছবি দেখা যায়।মসজিদটি ঠিক কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার কোনো সঠিক তথ্য নেই। তবে বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী,এর নির্মাতা ছিলেন ঢাকার জমিদার মির্জা গোলাম পীর। গোলাম পীরের পূর্বপুরুষ ঢাকায় এসে ‘মহল্লা আলে আবু সাইয়েদ’এলাকায় বসবাস শুরু করেন, পরে এই এলাকার নাম হয় আরমানিটোলা। 

মির্জা গোলাম পীর ১৮৬০ সালে মারা যান। ওই শতকের শুরুতেই তিনি মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। সতেরো শতকে দিল্লি, আগ্রা ও লাহোরে নির্মিত মোগল স্থাপত্যশৈলী অনুসরণে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। শুরুতে এটি মির্জা সাহেবের মসজিদ নামেই পরিচিত ছিল।

মির্জা গোলাম পীরের তৈরির আদি মসজিদটির দৈর্ঘ্য  ছিল ৩৩ ফুট  এবং প্রস্থ ১২ ফুট, গম্বুজ ছিল তিনটি। মাঝের গম্বুজটি অনেক বড় ছিল। সাদা মার্বেল পাথরের গম্বুজের ওপর তখন নীলরঙা অসংখ্য তারা যুক্ত ছিল। এ কারণে এটি তারা মসজিদ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। 

১৯২৬ সালে, ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। সে সময় জাপানের রঙিন চিনি-টিকরি পদার্থ ব্যবহৃত হয় মসজিদটির মোজাইক কারুকাজে। এই সময় মসজিদটির আকার বড় করা হয়। মসজিদের পূর্ব দিকে একটি বারান্দা যুক্ত করা হয়।

১৯৮৭ সালে এই মসজিদ পুনরায় সংস্কার করা হয়। এই সময় পুরোনো একটি মেহরাব ভেঙে দুটো গম্বুজ আর তিনটি নতুন মেহরাব বানানো হয়। সব মিলিয়ে বর্তমানে এর গম্বুজ সংখ্যা। মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট, প্রস্থ ২৬ ফুট।


তারা মসজিদ নিয়ে আমার তৈরি ভিডিও:১০০ টাকার তারা মসজিদ

পাপের শহর লাস ভেগাস

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের একটি শহর হচ্ছে লাস ভেগাস। সারা বিশ্বে এটি প্রমোদ নগরী হিসেবে বিখ্যাত। এই শহরকে মনোরঞ্জনের রাজধানীও...